মানুষের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি মাথা বলেন বা চোখ বা রক্ত যেটার কথাই বলেন না কেন সব কটাই গুরুত্বপূর্ণ। মাথা ছাড়া যেমন শরীর অচল ,তেমনি রক্ত ছাড়াও ,আবার ঠিক তেমনি হার্ট তো আছেই। শরীরে থাকা প্রত্যেকটা অঙ্গরই রয়েছে আলাদা আলাদা কাজ ও বৈশিষ্ট্য ।
আবার আছে প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতার শক্তি । এই শক্তি কোথা হতে আসে ? নিশ্চয়ই খাদ্য থেকে । আবার এই অঙ্গগুলোর সচলতা ঠিক রাখার জন্য আপনাকে বাহির থেকে কাজ সম্পাদন করতে হয় । এই যেমন ধরুন হাঁটা হাঁটি, দৌড়ানো , অর্থাৎ যে কোন ব্যায়াম। আবার সেটা হতে পারে সাইকেল চালানো । হ্যা ঠিক তাই । আপনারা জানেন যে ব্যায়াম শরীরের জন্য কতটা দরকার।
আপনি কি জানেন সাইকেল চালানো শরীরের জন্য কতটা উপকারী ? শরীর অস্বস্তি লাগছে ? সাইকেল চালিয়ে আসুন । আলসেমি লাগছে ? সাইকেল চালিয়ে আসুন। আলসেমি দূর হয়ে যাবে । শরীরের কর্মক্ষমতা ফিরে পাবেন। আপনার সেদিন ভালো যাবে । অর্থাৎ দিনটা ভালো কাটবে । পরিশ্রম করবেন এ দিন আপনার জন্য সুখের দিন ।এবার দেখে আসি কি কি উপকারিতা আছে ।
১. নিয়মিত সাইকেল চালানো ঘুমে সাহায্য করে। বিশেষ করে ইনসোমনিয়ায় এটি বেশ কার্যকর। ঘুমের উন্নতির জন্য সাইকেল চালানোর সবচেয়ে কার্যকর সময় হল সন্ধ্যা। তাছাড়া সকালে সাইকেল চালালে এটি সারাদিন শরীর সক্রিয় রাখে এবং রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে।
২. সাইক্লিং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ বা হ্রাস করার একটি ভালো মাধ্যম। কারণ এটি হজমশক্তি এবং খাবারের রুচি বাড়ায়, পেশি গঠন করে এবং শরীরের চর্বি পোড়ায়। সাইক্লিংয়ের পাশাপাশি একটি স্বাস্থ্যকর পরিকল্পিত খাদ্যাভ্যাস যে কারও ওজন কমাতে সহযোগিতা করবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন সাইক্লিংয়ের পাশাপাশি সেটির পরিমাণ বাড়ালে তা যে কারও জন্য উপকারী হতে পারে।
৩. সাইকেল চালানোর ফলে ভারসাম্য, ভঙ্গি ও মনোযোগ বাড়ে। সাইকেল চালানোর সময় নিজের দেহকে স্থিতিশীল করতে গিয়ে সামগ্রিক ভারসাম্য, সমন্বয় এবং ভঙ্গিমার উন্নতি ঘটে। এর ফলে হঠাৎ পড়ে গিয়ে ফ্র্যাকচার হওয়ার ঘটনা কম ঘটে।
৪.৩০ থেকে ৬০ মিনিট সাইকেল চালানোর ফলে প্রতিদিন শরীরের সব অংশ থেকে চর্বি কমতে পারে। ব্রেইনকে শান্ত করে এবং নিঃসরণ করে 'হ্যাপি হরমোন', যার প্রভাব পরে মেদ কমাতে।