ঝাল শব্দটির সাথে আমরা পরিচিত । প্রায়ই এর সম্মুখীন হতে হয় আমাদের । কখনো ভর্তা , কখনো তরকারি ,আবার কখনো আম ভর্তা ইত্যাদি। খেয়ে কি স্বাদই না পাই । ঝাল ছাড় তো তরকারি খাওয়াই যাবে না । মানে ঝাল ছাড়া কি তরকারি পরিপূর্ণ ? নিশ্চয়ই নয় । এখন বুঝুন ঝালকে আমরা কিভাবে জড়িয়ে ধরে আছি ।
কখনো পান্তা ভাতের সাথে ,আবার কখনো ঝাল মুড়ির সাথে । আমার তো ঝাল মুড়ি খুবই পছন্দের। যদিও তেমন খাওয়া হয়ে উঠে না । তো আসলে ঝাল খাওয়া কি খারাপ ? আপনি বা আপনারা কি মনে করেন ? কখনো কি দেখেছেন যে ঝাল খেলে শরীরের কি কি ক্ষতি হচ্ছে ? তাহলে জেনে নিন জাল খাওয়া কি আসলেই খারাপ ?
ঝাল খেলে ব্যক্তির দেহে কিছু উপকার প্রাপ্ত করা যেতে পারে। তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, এটি সবসময় সমীচীনভাবে ভোজন করা উচিত নয়, এটি কেবল মাধ্যমিক পর্যাপ্ত হতে পারে। নিম্নলিখিত কিছু উপকার মেনে নিতে সাহায্য হতে পারে:
১. পাচনে সাহায্য: ঝাল খেলে খাবার পাচন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে, যাতে আপনি বেশী খাবার পরিবর্তন করতে পারেন এবং অন্যান্য খাবারের সাথে সমতুল্য আপনার আহার প্রস্তুত করতে পারেন।
২. ওজন কমাতে : প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন একটু বেশি ঝাল খাবার। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে মরিচ যা ঝাল খাবারের মূল উৎস তাতে রয়েছে ক্যাপসিসিন নামক যৌগ যা দেহে থার্মোজেনিক ইফেক্টের জন্য দায়ী। এই থার্মোজেনিক ইফেক্ট দেহের ক্যালরি ক্ষয় করতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।
৩. প্রোটিন সরবরাহ: ঝাল খেলে আপনি প্রোটিন প্রাপ্ত করতে পারেন, যা শরীরের শিক্ষণীয় প্রক্রিয়াগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন শরীরের স্ট্রাকচার গঠন, হাঁপানো কমানো এবং কোষের প্রসারণে সাহায্য করতে পারে।
৪. পাচনশক্তি বৃদ্ধি: ঝালে মধুর কারণে পাচনশক্তি বৃদ্ধি পাওয়া যায়, যা পাচনশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে
৫.রাগ নিয়ন্ত্রণে : গবেষণায় দেখা গেছে ঝাল খাবার আমাদের দেহে সেরেটেনিনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। যাতে একধরনের ভালোলাগা উৎপন্ন হয় আমাদের মস্তিষ্কে। যারা একেবারেই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননা তারা ঝাল খাবার খেয়ে রাগ দূর করার চেষ্টা করতে পারেন। এতে করে রাগও দূর হয়ে যায় খানিক পরেই।
৬. ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে: ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে ক্যাপসেইসিনের ভূমিকা আছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ভালো।
সারাদিন ঝাল খাওয়া ব্যক্তির জন্য উচিত নয়, মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ ঝালে খাওয়ার ফলে শরীরে অনুপ্রাণিত প্রক্রিয়া এবং ডায়াবেটিস, মধুমেহ এবং অন্যান্য সমস্যার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা উদ্ভব হতে পারে। সুস্থ খাদ্য প্রস্তুতির সাথে ঝাল সম্পর্কে মিশ্রিত মতামত স্বীকার করা উচিত, এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে । তবে যারা ঝাল কম খান বা মোটেও খান না তাদের তুলনায় যারা প্রতিদিন বা সপ্তাহে ২ দিন ঝাল খান ,তাদের হৃদরোগ, ফুসফুস ও ক্যান্সার জনিত রোগে মৃত্যু হার কম ।