হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায় ।

হার্ট অ্যাটাক শব্দটির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত । এর আগে,” সাবধান ! মিনি হার্ট অ্যাটাককে অবহেলা নয় ।‌”- শিরোনামে আমি আপনাদের বলেছিলাম হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে লেখা লিখব । তাই শুরু করছি । 



Heart attack




কোন কোন দিন আমরা কোন মানুষকে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে দেখি । সুস্থ সবল একটা মানুষ হঠাৎ করেই তার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেল। কিন্তু কেন হল ? আমরা তো দেখছি লোকটি দেখতে সুস্থ । তাহলে ? হ্যা, নিশ্চয়ই কারণ রয়েছে । আজকে কারণ হতে শুরু করে 'হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায়' সম্পর্কে আলোচনা করব । হতে পারে এতে আপনি অবগত হলেন । 




হার্ট অ্যাটাক কি ? 




হার্ট অ্যাটাক হলো হৃদরোগের একটি জরুরী অবস্থা, যেখানে হৃদয়ের একটি অংশে রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে যায়,আর এতে পেশী গুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং পরবর্তীতে অংশগুলো মৃত্যুপ্রাপ্ত হতে পারে । অন্য কথায় বলতে গেলে রক্ত সরবরাহকারী নালী বন্ধ হলে ,রক্ত হার্টে না পৌঁছাতে পেরে হার্টে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় । যার ফলশ্রুতিতে হার্ট অ্যাটাক হয় । 






লক্ষণ গুলো কি কি? 






হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কিছু সাধারণভাবে দেখা যায়:






বুক ব্যথা: হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ হল বুকে ব্যথা । সচরাচর সেটা দেখা যায় ব্যথা বুকের মাঝ বরাবর হওয়া । ধীরে ধীরে এই ব্যথা চোয়াল,বাম কাঁধ ও হাতে ছড়ায় ।




শ্বাসকষ্ট: শ্বাসকষ্ট হওয়া অথবা হঠাৎ শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার সময় কষ্ট হতে পারে।




ঘাম হওয়া: হার্ট অ্যাটাকের সময় ব্যক্তির অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। এটা একটা আগাম লক্ষণ । বুক ধড়ফড় করতেও পারে । 




মুখে বা হাতে ব্যথা: হার্ট অ্যাটাকের সময় মুখে বা বাহুতে ব্যথা হতে পারে যেটা আগেই বলেছি। 




কাশি: ঠান্ডা জনিত কারণে কাশি হয়ে থাকে । কিন্তু এই এই কাশি হার্ট অ্যাটাকের পুর্ব লক্ষণ নয় । তবে কাশির ধরণ বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয় । অর্থাৎ রক্ত মিশ্রিত কফ হলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে 




জ্ঞান হারানো: হঠাৎ করেই যদি কোন লোক জ্ঞান হারায় মানে অজ্ঞান হলে ধরে নিবেন তার হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা আছে । 




ক্লান্তি বোধ করা: হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম আরো একটি লক্ষণ অল্পতেই ক্লান্তি বোধ করা । একটুখানি কাজ করলেন ক্লান্ত হয়ে গেলেন । বিষয়টা এরকম।






মাথা ব্যথা: অনেক কারণেই মাথা ব্যথা হয় । ঠান্ডা জনিত কারণেও হয় । আপনার যদি প্রতিনিয়ত প্রচন্ড মাথা ব্যথা হয় তাহলে এটা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ । 






পালস রেট: হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ হল অনিয়মিত পালস রেট । সাধারণত মানসিক ভাবে চিন্তিত বা দৌড়াদৌড়ি করলে পালস রেট ওঠা নামা করে । কিন্তু কারণ ছাড়া এরকম ওঠা নামা করলে ভাববার বিষয় । এরকম হলে এটা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ । 






কারণগুলো কি কি ? 






হার্ট অ্যাটাকের কারণগুলো বিস্তারিতভাবে জানার জন্য, নিম্নলিখিত পাঁচটি প্রধান কারণ মন্তব্য করা হয়:




ধূমপান: ধূমপান হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে কারণ এটি নির্দিষ্ট রক্ষার কাজে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করতে পারে এবং ধূমপান করার ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি হতে পারে।




উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ হলে হৃদয়ের আর্টারিগুলি কঠিন হতে পারে এবং এটি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।




অবশ্যই রক্তশ্রম: এটি হৃদয়ে অধিক চাপ ওঠার কারণে হতে পারে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।




ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস হলে সমস্যা হতে পারে এবং এটি হৃদয়ে ক্ষতি করতে পারে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।




অক্সিজেনের অভাব: রক্তে অক্সিজেনের অভাব হলে হার্ট অ্যাটাক হয় । আর তখনই সেটা হয় যখন ফুসফুস তার কার্যক্ষমতা হারায় । 




পরিশ্রম না করা: কায়িক পরিশ্রম না করলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অধিকতর বেড়ে যায়। 






পুরুষদের জন্য বৃদ্ধির ঝুঁকি: পুরুষদের মধ্যে বৃদ্ধির জন্য ঝুঁকি বেড়ে আসে, সাধারণভাবে উচ্চ লিপিড স্তর, প্রস্তুতির সময়ে শক্তিশালী পর্যাপ্ত পরিমাণে বাড়তে না পারা, এবং ধূমপান সহজে প্রভাবিত হতে পারে।






হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায় :




হার্ট অ্যাটাকের প্রতি ঝুঁকি কমাতে এবং হৃদয় স্বাস্থ্য সংরক্ষণের জন্য কিছু করণীয় রয়েছে:




নিয়মিত চেকআপ এবং পরীক্ষা: নিয়মিতভাবে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন এবং নির্দিষ্ট বয়স্কদের জন্য আদর্শ প্রধান স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।




পর্যাপ্ত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম করা হৃদয়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে এবং ওজন মেনে রাখতে সাহায্য করতে পারে।




স্বাস্থ্যকর খাবার: প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যকর খাবার এবং উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা।




ধূমপান এবং মাদক সেবন করবেন না: ধূমপান এবং অন্যান্য নেশার ব্যবহার করতে হার্টের ক্ষতি করে, এবং এটি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।




সতর্ক থাকুন : চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন এবং প্রয়োজনে নিজের জীবনযাত্রার পরিবর্তন করুন যাতে আপনি হার্ট স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারেন।




শারীরিক ও মানসিক চাপ: শারীরিক ও মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন যাতে আপনার মন সতেজতা ফিরে পায় ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম